ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
সংবাদচর্চা ডেস্ক:
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এহসান রফিককে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত ছাত্রলীগ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বোর্ড সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হবে বলে জানান তিনি।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের এক সভায় ওই ঘটনার সব তথ্য-প্রমাণ ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মার্কেটিং বিভাগের মো. ওমর ফারুককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সামিউল ইসলাম সামি, দর্শন বিভাগের আহসান উল্লাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. রুহুল আমিন বেপারী, উর্দু বিভাগের মো. মেহেদী হাসান হিমেল, লোকপ্রশাসন বিভাগের ফারদিন আহমেদকে দু’বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। হামলায় প্ররোচনার দায়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের মো. আরিফুল ইসলামকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে সবাইকে স্থায়ীভাবে হল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শৃঙ্খলা বোর্ড।
ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুককে ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে এহসান রফিককে মারধর করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরদিন পর্যন্ত তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে তারা। মারধরের কারণে একটি চোখে মারাত্মক আঘাত পান রফিক। এক সময় পালিয়ে ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
ওই ঘটনার একদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রুহুল আমিন, ওমর ফারুক ও উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে অন্য চারজন এখনও বহাল আছেন। তারা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক ফারদিন আহমেদ, সদস্য সামিউল ইসলাম সামি ও আহসান উল্লাহ।